বন্যায় কষ্ট হলেও কেউ না খেয়ে থাকেনি: ত্রাণমন্ত্রী

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (ফাইল ফটো)দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হলেও কেউ না খেয়ে থাকেনি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘গত ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা কবলিত জেলাগুলো সফর করে দেখেছি বন্যাক্রান্ত মানুষের কষ্ট হয়েছে। কিন্তু কেউ না খেয়ে থাকেনি।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরে এ সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদফতরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরছে। কিন্তু পানি নেমে যাওয়ার সময় দেশের মধ্যাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। জেলাগুলো হলো- মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাদারিপুর ও চাঁদপুর। এসব জেলার জেলা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় সবাই ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য নয়। আমরা তিনটি ক্যাটাগরি বিবেচনায় ত্রাণ দিচ্ছি। যাদের মধ্যে হতদরিদ্র, প্রতিবন্দি ও নারী প্রধান পরিবার এবং ৬৫ বছর বয়সী পরিবারের কর্তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।’

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘শতভাগ মানুষকে খুশি করা সম্ভব না। শতভাগ মানুষ ত্রাণ পাওয়ার যোগ্যও নয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বন্যা কবলিত অনেক এলাকার মানুষ এলাকার বাঁধ সংস্কার, বিজতলা ডুবে যাওয়া, খামারের মাছ ভেসে যাওয়া এবং পশু খাদ্য সংকটের কথা বলেছেন। কিছু এলাকার বন্যাক্রান্ত মানুষরা এনজিওর কাছ থেকে যে ঋণ নিয়েছ তার কিস্তি বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছি।’

এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যায় অসহায় মানুষদের সাহায্য করা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ফাঁকা আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেত্রী ত্রাণ বিতরণ দূরে থাক, তিনি এখন বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমিয়েছেন। তার মহাসচিব ঢাকায় বসে বড় বড় কথা বলছেন। বিএনপি জনগণের দুঃখ-কষ্ট নয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমি তাদের উদ্দেশে বলবো, ফাঁকা আওয়াজ না দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। ত্রাণ দেওয়ার সামর্থ না থাকলে আমাদের কাছ থেকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যান।’

/এসআই/এসএনএইচ/