এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধ মেরামত ও নির্মাণে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে কৃষকদের কৃষিবীজ ও সার বিতরণ, মৎস্য খামারিদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের এখন প্রধান কর্তব্য।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘এ বছর হাওরে অকাল বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোরা, পাহাড় ধস ও উত্তরাঞ্চলে আগাম বন্যার মতো চারটি বড় দুর্যোগ সরকার সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করছে। সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি, দুর্যোগকালে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের কারণে প্রত্যেকটি দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে আসায় মধ্যাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়তে পাড়ে। সরকার এসব জেলার প্রশাসনকে সার্বিক প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় আগাম খাদ্যশস্য ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।’
চারটি বড় দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য, ৩৬ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন চাল, ৫৯ কোটি ২৫ লাখ নগদ টাকা, গৃহনির্মাণের জন্য ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকা, কর্মসংস্থানের জন্য ইজিপিপি প্রকল্প থেকে ৮২ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগাম বন্যায় ফসলহানির কারণে হাওর অঞ্চলের জেলাগুলোয় প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ দেওয়া হয়েছে, যা আগামী এপ্রিল/২০১৮পর্যন্ত চলমান থাকবে।’
ঘূর্ণিঝড় মোরা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘৩০ মে তারিখে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় মোরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত থাকার পরও সরকার সে দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ২ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন চাল, ১ কোটি ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, গৃহনির্মাণের জন্য ১০০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।’
পাহাড় ধস প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, ‘এ ঘটনায় ১৬৬ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ১ হাজার ১২০ মেট্রিক টন চাল, ২ কোটি ২২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গৃহনির্মাণের জন্য ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৩০ কেজি চাল ও ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।’
/এসআই/এমএনএইচ/