শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন আসছে ইপিজেড আইনে

ইপিজেড

শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) আইনে পরিবর্তন আনছে সরকার। এ লক্ষ্যে গত সপ্তাহে বাণিজ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আলোচনা করে এই আইন চূড়ান্ত করা হবে।

এ বিষয়ে শ্রম সচিব মিকাইল শিপার বৃহ্স্পতিবার (২০ জুলাই) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শেষ করার পর আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নতুন খসড়ায় থাকবে কিনা জানতে চাইলে শ্রম সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার আছে এবং এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন আনা হবে। তবে ট্রেড ইউনিয়ন শব্দটি ব্যবহার করা হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইপিজেড এলাকায় পূর্ণ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থাকার বিষয়ে একাধিকবার সরকারকে জানিয়েছে।তারা বলেছে, এটি করা না হলে ইইউ-তে শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এখানে উল্লেখ্য, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারের পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় রফতানি করা হয়। এই অঞ্চলটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার।

শ্রম সচিব মিকাইল শিপার বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছি,বাংলাদেশ শ্রম আইন ও রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল আইনের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকবে।’

এদিকে,চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল আইন সংশোধনের জন্য সরকার একটি বিল সংসদে উপস্থাপন করে। পরে তা ইইউ’র আপত্তির মুখে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

পরে জুন মাসে আন্তর্জাতিক শ্রম কনফারেন্সে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল আগস্ট মাসের মধ্যে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল আইন সংশোধনের খসড়া আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে হবে এবং এরপর সংসদে এটি পাসের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বর্তমানে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে ট্রেড ইউনিয়নের পরিরর্তে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার কমিটি ব্যবস্থা চালু আছে।

/এসএসজে/এএম/টিআর/এসটি/