১৬ হজ এজেন্সি একজন যাত্রীও পাঠায়নি: বিমানমন্ত্রী

সভায় বক্তব্য রাখছেন রাশেদ খান মেননএখনও ১৬টি হজ এজেন্সি একজন যাত্রীও পাঠায়নি বলে জানিয়েছেন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ে ফ্লাইট জটিলতা নিয়ে সভা করেন মন্ত্রী। এরপর আশকোনায় হজ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘১৫ হাজার যাত্রীর ভিসা লজমেন্ট হয়নি এখনও। এজেন্সিগুলো টিকিট না কাটায় হজ যাত্রীদের বিড়ম্বনা হচ্ছে। এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২৬ আগস্ট হজ ফ্লাইটের শেষ সময় হলেও আরও দু’দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। এছাড়া বিমানের অন্যরুটের ফ্লাইট পুনর্বিন্যাস করে হজ ফ্লাইটে বেশি উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে বলেও জানান বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘স্বাচ্ছন্দ্যে ও নির্বিঘ্নে হজ পালনের ব্যবস্থা করতে সরকার সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে। কারও গাফিলতি,অসহযোগিতায় এ কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে তা বরদাশত করা হবে না। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর ভিসার জন্য পাসপোর্ট হজ অফিসে জমা হয়নি। ১৬টি এজেন্সি এখনও একজন হজযাত্রীও পরিবহন করেনি। অভিযোগ এসেছে, অনেক হজ এজেন্সি হাজিদের বাড়িভাড়া করেছে ২০ আগস্টের পর। এটি সত্যি হলে ২০ আগস্টের পর যে চাপ তৈরি হবে তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় এয়ারক্রাফট পাওয়া যেমন দুস্কর হবে তেমনি অতিরিক্ত স্লটও পাওয়া যাবে না। তাই বিপর্যয় এড়াতে ভিসা হয়েছে এমন হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠাতে হজ এজেন্সিগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন,‘হজযাত্রীর অভাবে ইতোমধ্যে বিমানের ২২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যা বিমানকে আর্থিক ক্ষতি ও ইমেজ সংকটের মুখোমুখি করেছে। যদিও এর দায় বিমানের ছিল না। নতুন পাওয়া ১৪টি স্লটের অতিরিক্ত আরও ৭টি স্লট পরিচালনা করতে বিমানের আবুধাবির ২টি, ব্যাংককের ৩টি, দোহার ৫টি, দুবাইর একটি কাঠমান্ডুর দুটি,কুয়ালারামপুরের একটি, লন্ডনের তিনটি, মাস্কাটের একটি, রিয়াদের তিনটি এবং দাম্মামের দুটি ফ্লাইট বাতিল অথবা কমিয়ে আনা হবে। মালেশিয়া থেকে লিজকৃত একটি এয়ারক্রাফট ২০ আগস্ট থেকে হজ পরিবহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’

সভায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক,বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান এযার মার্শাল (অব.) এনামুল বারী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম জিয়াউল হক, বিমানের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদ হজ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

/সিএ/এসটি/এপিএইচ/