তিনি বলেন, ‘সেনা উপস্থিতির কারণে রোহিঙ্গাদের দলে দলে সীমান্ত পার হওয়ার একটি আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য আমরা নিজেদের তৈরি রেখেছি।’
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত অক্টোবর পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে এখনকার অবস্থা অনেক ভালো। দুয়েকটি বিছিন্ন ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে থাকে এবং আমরা তাদের পুশব্যাক করে দেই।’
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ৫০০ সদস্যের একটি দল প্লেনে করে সিতুয়ে এসেছে। এছাড়া আশেপাশের অঞ্চল থেকেও মিয়ানমার তার সেনাবাহিনীর সদস্যদের এখানে পাঠাচ্ছে। মিয়ানমারের সেনারা সীমান্ত অঞ্চলে বিভিন্ন গ্রামে সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য অপারেশন চালাচ্ছে এবং তাদের টার্গেট রোহিঙ্গারা নয়।’
এদিকে সরকারি একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মিয়ানমার অক্টোবর থেকে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করলেও সাম্প্রতিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি করেছে। তবে সীমান্তে সেনা সমাবেশ বৃদ্ধির আগে মিয়ানমার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কোনও কিছু জানায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সীমান্তে সেনা সমাবেশ করার আগে প্রতিবেশী দেশকে অবহিত করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও কিছু করা হয়নি। আমরা সরকারি পর্যায়ে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। কিন্তু তারা এখনও কোনও উত্তর দেয়নি।’
/এফএস/
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে হিলি সীমান্তে বিজিবিকে মিষ্টি উপহার বিএসএফ’র