উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকা অবনতিশীল, পানি কমছে মেঘনায়

পঞ্চগড়ে বন্যায় তলিয়ে গেছে ঘর উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীল থাকলেও তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার অববাহিকার নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। ফলে কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বর্তমানে বিপদসীমার এক থেকে দেড় মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মঙ্গলবারের (১৫ আগস্ট) বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বুলেটিনে বলা হয়, মেঘনা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি ঘটবে। মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে, ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেঘনা অববাহিকার অধিকাংশ নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে (মঙ্গলবার সকাল ৯টায়) আগের সর্বোচ্চ পানি সমতল রেকর্ডের ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, ৫-৬ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকায় পানি বৃদ্ধির ফলে উত্তরের এবং উত্তর-পূর্বের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীল রয়েছে এবং এই বন্যা পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের ৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ থেকে ১৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-গঙ্গা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে, সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাবে। পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে, যমুনা নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘন্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, বাংলাদেশের উজানের তিনটি অববাহিকার মধ্যে গঙ্গায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের উজানের দুটি পয়েন্টে (গোহাটি, পান্ডু) পানি হ্রাস পেতে শুরু করলেও ভাটির দুটি পয়েন্টে (গোয়ালপাড়া, ধুবরী) পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, মেঘনা অববাহিকায় পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে।

/ইউআই/এএম