ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি এখনও অবনতিশীল

 

জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি (ছবি- ফোকাস বাংলা)

দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার (উজানের অংশ ব্যতীত) বন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীল রয়েছে। তবে মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেঘনা অববাহিকার অধিকাংশ নদীর পানিও  হ্রাস  অব্যাহত আছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বন্যা সতর্কীকরণ বুলেটিন-৫ এ আজ  (বুধবার) এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের উজানের তিনটি অববাহিকার মধ্যে গঙ্গায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্রের উজানের তিনটি পয়েন্টে (গোহাটি, পান্ডু,গোয়ালপাড়া) পানি  হ্রাস পাচ্ছে।  ধুবরী পয়েন্ট পানি  স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে  মেঘনা অববাহিকায় পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। পরিস্থিতির বিবরণীতে বলা হয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে, তবে তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে। এই অববাহিকার উজানে নেপালে ও বিহারে বন্যা পরিস্থিতি থাকার ফলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে ।

কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, দেশের উত্তর অঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ব্রহ্মপুত্র নদীর উজানের অংশে (কুড়িগ্রাম, রংপুর) উন্নতি শুরু করবে। আর জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে পরিস্থিতি অবনতিশীল থাকবে। এই বন্যা পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের ৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৮ সে.মি হতে ১৩৬ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।

বন্যা পরিস্থিতি বুলেটিনের তথ্যানুযায়ী, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বর্তমানে বিপদসীমার প্রায় ০.৭৫-১.৫০ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি অব্যাহত থাকবে ।

/ইউআই/এপিএইচ/

আরও পড়ুন:  বন্যার স্রোত দেখতে গিয়ে সেলফি তোলার চেষ্টা, দুই স্কুলছাত্রসহ নিখোঁজ ৩