রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও প্রাসঙ্গিক’ শীর্ষক এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের ডিজি, বিজিবিরি ডিজি, আনসারের জিডি, কোস্ট গার্ডের ডিজি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কোনও পশুবাহী যানবহন তল্লাশীর জন্য থামানো হবে না। সারাদেশের হাইওয়েগুলোর পাশে ১৯৩টি পশুর হাট ও ২২৬টি হাট-বাজার আছে। এগুলোর কারণে যাতে সড়কে চলাচলে কোনও বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাটগুলোতে জাল নোট শনাক্তে মেশিন বসানো হবে। ঢাকা মহানগরীতে ২৩টি পশুর হাট থাকবে এবং সব পশুর হাটে হাসিলের তালিকা থাকবে যাতে কেউ বেশি টাকা দাবি করতে না পারে।’
এছাড়া ঈদের জামাতগুলোতে যাতে কেউ কোনও নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শোলাকিয়া ও দিনাজপুরে বড় ঈদ জামাতে আলাদাভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বাহির হওয়া পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা ও তল্লাশীচৌকি বসানো হবে। আর চামড়া কেনা বেচা নিয়ে যেন কোনও অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে চামড়া পাচার না হতে পারে সেজন্য সেখানে আলাদা নজরদারি রাখা হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নৌপথে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ টহল দেবে। ঈদের তিনদিন আগে থেকে নৌপথে বালুবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কগুলোতে যাত্রীবাহী যানের পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাক এবং জরুরি ওষুধ ও খাদ্যবাহী যান ছাড়া আর কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।’
/জেইউ/এসএনএইচ/