আন্দোলনে এরিকসন বাংলাদেশের কর্মীরা

এরিকসন বাংলাদেশের কর্মীদের বিক্ষোভসুইডিশ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এরিকসন’ এর বাংলাদেশে কর্মী ছাঁটাইয়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। গুলশানে-২ এর ১১৩ নম্বর সড়কে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির অফিসের সামনে তারা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

কর্মীদের অভিযোগ,বেশ কিছুদিন ধরে ছাঁটাই চলছে। এছাড়াও ভিএসআর (ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম) ঘোষণা না করায় কর্মরত কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাই তারা দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান ধর্মঘট ও আন্দোলন করছে।

তারা জানান,গত বছর ১৮ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ৫০৯ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে এরিকসন বাংলাদেশ। ১৭ আগস্ট নতুন করে আরও ৬০ জন কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ছাঁটাইকৃত কর্মীদের জন্য লে-অফ প্যাকেজ দেওয়া হয়নি। শ্রম আইন অনুযায়ী, তাদের পাওনা পরিশোধ না করা এবং খালি হাতে ফিরে যাওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।  এরিকসন বাংলাদেশে বর্তমানে কর্মী রয়েছেন প্রায় ২৭০ জন।

তারেক মাহমুদ নামে এক কর্মী বলেন,‘বিনা নোটিশে ও কোনও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই কর্মী ছাঁটাই,শত শত প্রকৌশলীদের বছরের পর বছর অস্থায়ী করে রাখা হয়েছে। এখানে গড়ে প্রত্যেকের গড় চাকরির বয়স ১২ বছর। আর সর্বনিম্ন চার বছর।  তাদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে সংক্ষিপ্ত নোটিশে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট বলছে,তারা কোনও টাকা পয়সা দেবে না। তাই আমরা আন্দোলন করছি।’ প্রতিষ্ঠানটি দেশে শ্রম আইন মানছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী আব্দুস সালাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'এ বিষয়ে মন্তব্য করা আমার এখতিয়ার মধ্যে নেই।'

এরিকসনে চার ক্যাটাগরি-ফুলটাইম,লোকাল কন্ট্রাকচুয়াল,ফিল্ড সার্ভিসেস অপারেশন বা এফএসও এবং থার্ডপার্টিতে কর্মীরা চাকরি করলেও তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। সে কারণে সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বৈষম্য হয়েছে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি। সেখানে পুলিশ আছে।’

/এআরআর/এসটি/