জমা পড়েনি ১ হাজারেরও বেশি হজযাত্রীর ভিসা আবেদন

 

অপেক্ষমাণ হজযাত্রীরাএবার ১ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন জমা দেয়নি হজ এজন্সিগুলো। এছাড়া একের পর এক ফ্লাইট বাতিলের কারণে প্রায় দেড় হাজার হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছাতে পারবে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফলে প্রায় ২ হাজার ৫০০ হজযাত্রীর সৌদি আরবে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে যাওয়া কথা ছিল। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সৌদি আরবে গেছেন ৮৮ হাজার ২০৯ জন। হজ অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

হজ অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভিসার আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮১৮ জনের। সৌদি আরব ভিসা দিয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৯ জনের। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিসার জন্য আবেদন জমা দিয়েছে বেশ কিছু হজ এজেন্সি।

এদিকে হজ এজন্সিগুলোর বিমান থেকে কী পরিমাণ টিকিট কিনেছে, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজ এজন্সি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে কোন হজ এজন্সি, কোন তারিখে, কোন ফ্লাইটের কতজনের টিকিট বুকিং বা কনফার্ম করেছে, তার তথ্য পাঠাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২২ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট ৩৮টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যদিও ২৮ তারিখ পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের কাছে আবেদন করলেও অনুমতি পায়নি বিমান। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করলে বিমানের পক্ষে ১ হাজার ৫০০ হজযাত্রীকে পরবহন করা সম্ভব  হবে না। অন্যদিকে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারললাইন্স ২২ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। আরও ৭টি ফ্লাইট পরিচালনা জন্য আবেদনও করেছে এয়ারলাইন্সটি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বিমান সাধ্যমতো চেষ্টা করছে সব হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছাতে। হজফ্লাইট ঠিক রাখতে নিয়মিত বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সব যাত্রী পরিবহনের জন্য সৌদি আরবের কাছে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।’

 হজ অফিসের সহকারী হজ অফিসার মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘আজও অনেক এজেন্সি ভিসার আবেদন জমা দিয়েছে। ভিসাপ্রাপ্ত হজযাত্রীদের চূড়ান্ত সংখ্যা মঙ্গলবার পাওয়া যাবে। তখন বলা যাবে কত জন যেতে পারছেন না।’