আবারও অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা: আইওএম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পআন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছুদিন বিরতি দিয়ে গত জুলাই থেকে বাংলাদেশে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে। বালুখালি ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা সমন্বয়ক বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে অন্তত ১০০ রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশ করছেন তারা। আর বিজিবি বলছে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তারা কঠোর নজরদারি করছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসেব অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত আই্ওএমের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অক্টোবরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে এ ধারা কমে আসে। তবে গত জুলাই থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়ার বালুখালি ও কুতুপালং এবং টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া ও দমদমিয়া ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। বালুখালি ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের দেখভাল করার জন্য ৩৫ জন সমন্বয়ক আছেন যাদের ‘মাঝি’ বলা হয়। তাদের প্রধান হচ্ছেন লালু মাঝি, তিনি গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। লালু মাঝি মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বালুখালি ক্যাম্পে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। তিনি দাবি করেন, গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০০ পরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে ঢোকার জন্য বিছিন্নভাবে রোহিঙ্গারা চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা তাদের পুশব্যাক করে দেই।’ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলে বিভিন্ন গ্রামে ‘সন্ত্রাসী’ ধরার নামে অপারেশন চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী এবং এ কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান সমাবেশ ঘটছে।

জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক:

শরণার্থী ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় টাস্কফোর্সের দুই দিনব্যাপী ১৪তম সভা বুধবার (২৩ আগস্ট) কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে। কক্সবাজারে এটি এ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় বৈঠক। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং পরিবেশ সচিব ইসতিয়াক আহমেদও এ বৈঠকে অংশ নেবেন।  টাস্কফোর্সের সদস্যরা বালুখালি ক্যাম্প, লেদা ক্যাম্প ও নয়াপাড়া ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।