আদালতে স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, স্বাস্থ্য সচিব আদালতে জানিয়েছেন, হাইকোর্টের আদেশে বুধবার (২৩ আগস্ট) ঔষধ প্রশাসনের ওই দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে ঔষধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের ব্যাখ্যা গ্রহণ না করে ফের হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। গত ২১ আগস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে তলব করেছিলের হাইকোর্ট। সে অনুসারে বুধবার হাজির হন ৬ সচিব।
২০০৯ সালে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে সারাদেশে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বিচার শেষে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পাঁচজনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালত বলেছিলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেনি। মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসামিদের দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩, ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তৎকালীন ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘অত্যাচারের ভয়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা আশা করে না বাংলাদেশ’