বজলুল হক হারুন বলেন, ‘দেশে এত হজ এজন্সির প্রয়োজন আছে কিনা, সেটি মূল্যায়নের সময় এখন এসেছে। আমি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করব। এছাড়া, হজ কার্যক্রমে মধ্যস্বত্বভোগী কারা আছেন, কাদের মাধ্যমে হাজিরা টাকা দিচ্ছেন, তাদের তালিকা মন্ত্রণালয় ও হাবের কাছে থাকতে হবে। এসব বিষয় নজরদারিতে রাখলে আর ঝামেলায় পড়তে হবে না।’
হজ কার্যক্রমের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক প্রসঙ্গে বজলুল হক হারুন বলেন, ‘আগের বছরগুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নিয়ম করেছিলাম, উড়োজাহাজ ভাড়ার টাকা এজেন্সির কাছে থাকবে না, ব্যাংকে জমা হবে। কিছু ব্যাংকের এ বিষয়ে গাফলতি ছিল, আমরা সমাধান করেছি। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম অভিযোগ করেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রী প্রতি ৩০০ টাকা প্রশিক্ষণের জন্য নেয়। এ বছর এই খাতে ৩ কোটি ৮০ লাখ নিয়েছে। বিনিময়ে কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজে যান, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়েছে, তা ফান্ডেই আছে অপচয় হয়নি। আর যারা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া কথা। আগামীতে এ বিষয়ে আমরা আরও বেশি সর্তক থাকব। এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের করা উচিত।’