মিয়ানমার গ্রামে আগুন লাগানোর দৃশ্য দেখলেন রাষ্ট্রদূতরা

রাষ্ট্রদূতরা তমব্রু সীমান্ত পরিদর্শনকালে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী গ্রামে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়। (ছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা খোরশেদ খাস্তগীরের ফেসবুক থেকে নেওয়া)

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের গ্রামগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন বাংলাদেশে কর্মরত ৪০টি দেশের কূটনীতিক।  

তমব্রু সীমান্তে ৪০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন বিজিবির একজন কর্মকর্তা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম। (ছবি-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ অনুবিভাগের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর উদ্যোগে বুধবার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূত কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। সকালে তারা কক্সবাজারে পৌঁছানোর পরে তাদের উখিয়া উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা নোম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষারত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ অনুবিভাগের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীরের ফেসবুক পেজের স্ট্যাটাস

সেখানে উপস্থিত একজন সরকারি কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান,দুপুর দেড়টার দিকে কূটনীতিকরা যখন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ শেষ করে গাড়িতে উঠছিলেন ঠিক তখনই নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে কূটনীতিকদের গাড়ি বহর থামিয়ে তাদেরকে এ দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতি চাক্ষুষ দেখে অবাক ও হতভম্ব হয়ে পড়েন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনেককেই এ দৃশ্যের ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে দেখা যায়।

নোম্যান্স ল্যান্ডে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। (ছবি-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ অনুবিভাগের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)

রাষ্ট্রদূতরা তুমব্রু সীমান্ত ছাড়াও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় ক্যাম্প কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।