আই.টি.পি নিবন্ধন পরীক্ষার্থীদের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

আয়কর পেশাজীবী (আই.টি.পি) নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কোনও ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করদাতাদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য আয়কর পেশাজীবী (আই.টি.পি) নিবন্ধন-২০১৭ এর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। 

রাজস্ব আদায় করা সংস্থাটি বলছে, আই.টি.পি নিবন্ধনের সকল কার্যক্রম শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে এনবিআর বদ্ধপরিকর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিযোগিতামূলক নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সার্বিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীকে কোনও প্রকার গুজবে বিশ্বাস না করে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে।

প্রসঙ্গত, এই পরীক্ষায় ২২ হাজার ১৪১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। প্রায় ৫ বছর পর এই পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আই.টি.পি নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

এনবিআরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কর আইনের মতো জটিল বিষয়কে সাধারণ করদাতাদের কাছে সহজবোধ্য করে সরকারের রাজস্ব ভান্ডারে অর্থ যোগানে কর আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর বিভাগ ও করদাতাদের মধ্যে কর আইনজীবীরা যোগসূত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সঠিকভাবে কর প্রদানে সচেতন ও উদ্ধুদ্ধ করে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, রাজস্ব সংগ্রহে কর আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। সরকারের সর্বোচ্চ রাজস্ব সংগ্রহকারী সংস্থা হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার সকল অংশীজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি সব বিষয়ে সুশাসন সুনিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, কর বিভাগের কর্মর্কতা-র্কমচারীদের পাশাপাশি কর আইনজীবীগণও উন্নয়নের অক্সিজেন ‘রাজস্ব’ আহরণে যুগপৎভাবে কাজ করেন। করনেট সম্প্রসারণ, সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও রাজস্ব-বান্ধব কর প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তাঁরা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকেন। তাই, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অনুসরণ করতে বলেছি।