শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক মানের: বিমানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরের ইডিএস ইনস্টলেশন ও ট্রায়াল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন পর্যটনমন্ত্রীহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন (ইটিডি), এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস) ও ৩৭টি ডুয়েল ভিউ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিন স্থাপনের মধ্য দিয়ে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এখন যেকোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনীয়।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইডিএস ইনস্টলেশন ও ট্রায়াল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সময় পর্যটনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক সব নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও ব্যবস্থা স্থাপনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসহ বিশ্বের সব দেশে নিরাপদে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত হবে।’ এই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার জারি করা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে বলে আশাবাদ জানান মন্ত্রী।
পরে রাশেদ খান মেনন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, কার্গো ব্যবস্থাপনা, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ও যাত্রী সেবার স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমকে আরও দ্রুত সম্পন্ন করে কার্গো জট কমানোর নির্দেশনা দেন। উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ৩০ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেন তিনি।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, সিভিল এভিয়েশনের নতুন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) এনামুল বারী, বাংলাদেশ বিমানের এমপি মোসাদ্দেক আহমেদ, সিভিল এভিয়েশনের সদস্য (অপারেশন) মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন-
রাস্তা সিটি করপোরেশনের, ট্যাক্স নেয় বিআরটিএ
নিষেধাজ্ঞায় ভরা গার্হস্থ্য বই, দায় নিচ্ছেন না লেখক-সম্পাদক