সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জুমার খুতবায়

বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের খুতবা ও মোনাজাতে সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানানো হয় (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের খতিবরা। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ একাধিক মসজিদে জুমার নামাজের শেষে মোনাজাতেও শান্তির আহ্বান জানিয়ে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, যশোরের বেনাপোলে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশে যাতে কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সে কারণেই মসজিদে-মসজিদে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষার এই আহ্বান জানানো হয়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা এহসানুল হক নামাজ শেষে মোনাজাতে শান্তি কামনা করেন। দেশের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য মোনাজাতে দোয়া করা হয়।
মোহাম্মদপুরের মিনার মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান খুতবার আগে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘ইসলামের নামে আত্মঘাতী বোমা হামলা, অন্য ধর্মের লোকদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড ইসলাম সমর্থন করে না। এসব কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা ও শান্তির ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুদের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে, তার সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা। না হয় ওই সন্তান পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্মের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে।’ রোহিঙ্গা মুসলিমসহ বিশ্বের মজলুম মুসলমানদের সাধ্যমতো সাহায্য ও সহযোগিতা ছাড়াও তাদের জন্য দোয়া করতে বলেছেন মাহমুদুল হাসান।
মিরপুরের ওয়াক আপ কলোনি জামে মসজিদের খতিব তার বয়ানে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করার আহ্বান করেন। এছাড়া, নামাজ শেষে মোনাজাতে শান্তি কামনা করা হয়। বয়ানে মাওলানা ইউসুফ বলেন, ‘প্রত্যেকের উচিত রোহিঙ্গাদের সহযোহিতা করা। যতটুকু ক্ষমতা আছে, তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শান্তির জন্য সকলে নামাজ পড়ে দোয়া করবেন।’
আরও পড়ুন-
বিক্ষোভে সু চির কফিনে আগুন
রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান আরাকান স্বাধীন করা: হেফাজত

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান হেফাজতের