এবার শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার জন্য র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি ১ লাখ ৬৮ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল একথা জানিয়েছেন। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পূজা অনুষ্ঠান ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রী একথা জানান।
ঢাকায় ২৩১টি পূজা মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকেশ্বরী, রমনা, বনানী, কলাবাগানসহ বড় বড় পূজা মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পূজা উদযাপন কমিটিকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মন্দিরে যেন তারা সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরসহ নিরাপত্তা সামগ্রী রাখেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্ধারিত বিসর্জনের সময় মানার আহ্বান জানিয়ে রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জন শেষ করার কথা বলা হয়। বিকাল ৩টা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বিসর্জনের শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহনগরীর জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এবং সারাদেশের জন্য পুলিশ সদর দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হবে। যে কমিটিতে বিভিন্ন ধর্ম-পেশার লোক থাকবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মণ্ডপে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদেরও থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ইভটিজিং বা নারীরা যাতে হেনস্তার শিকার না হন সেজন্য নারী পুলিশের পাশাপাশি পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যেও নারীদের রাখা হবে। পূজা চলার সময় রাস্তায় কোনও ধরনের মেলা না বসানোর অনুরোধও জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি, আজানের সময় পূজামণ্ডপ থেকে উচ্চস্বরে কিছু না বাজানো ও আঁতশবাজি নিষিদ্ধ করার কথাও পূজা কমিটিকে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বিসর্জনের দিন আশুরা হওয়ায় শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠক করা হবে। একই সময়ে উভয়পক্ষের মিছিল বা র্যালি বের না করারও অনুরোধ করা হয় সভায়।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারাও বৈঠকে অংশ নেন।