রোহিঙ্গাদের জন্য এখন পর্যন্ত আজারবাইজান, তুরস্ক, মরক্কো, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান ও আরব আমিরাত থেকে ত্রাণ এসেছে বাংলাদেশে। কার্গো বিমানে করে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় এসব ত্রাণ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টম্বর) তার ফেসবুক পোস্টেও বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠানো দেশগুলোর কথা জানিয়েছিলেন।
সহায়তা দিয়েছে
গত ১৩ ও ১৫ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের জন্য দুই দফায় ৫৩ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় এসব ত্রাণবাহী বিমান। ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়া থেকেও ৩৪ টন ত্রাণ নিয়ে চারটি বিমান অবতরণ করেন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে।
পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর ১৪ টন ত্রাণ পাঠায় মরক্কো সরকার। মরক্কোর পাঠানো ত্রাণের মধ্যে ছিল তাঁবু, কম্বল, ওষুধ, গুঁড়ো দুধ, ম্যাট্রেস ও চার টন চাল। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ৪০ টন ত্রাণ আসে ইরান থেকে। ইরান সরকারের পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল বিছানা, তাঁবু, কম্বল, বিস্কুট, শুকনো খাবার ও ওষুধ।
সহায়তার ঘোষণা
এরই মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছানো ত্রাণ সহায়তার বাইরেও বেশকিছু দেশ ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া; ১৫ লাখ ডলার জরুরি সহায়তার ঘোষণা করেছে কুয়েত সরকার। এদিকে, রোহিঙ্গা ও বন্যার্তদের জন্য ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সুইজারল্যান্ড; আরও ৩ মিলিয়ন ইউরো অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। এছাড়াও, ডব্লিউএফপি ও ইউএনএইচসিআর’র মাধ্যমে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে ২৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার।