জাতিসংঘের সংস্কার সম্পর্কিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার শেখ হাসিনা-ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে নিউ ইয়র্কে হোটেল গ্র্যান্ড হায়াত-এ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
শহীদুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।’ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বাংলাদেশের পাশে থাকা এবং এ সংকট সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সুষমা যৌথ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ২৩ ও ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করবেন।
এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রানি সংস্থাটির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি জানান, তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চান এবং তিনি শরণার্থীদের অবস্থা দেখতে বাংলাদেশ সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অন্যসব বিষয়ে একত্রে কাজ করবে। উল্লেখ্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমনপীড়নে আগস্টের শেষ থেকে চার লাখেরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দফতরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসোরিং তোবগে’র সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের শেষে মহাকাশে বাংলাদেশ যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে তা থেকে সেবা নেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকেও ব্যান্ডউইথ সেবা গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। সূত্র: বাসস।
আরও পড়ুন-
জাতিসংঘে ট্রাম্প, সুষমার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেখ হাসিনার
জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ক সভায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী