স্মার্ট কার্ড প্রকল্পে সরাসরি কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ রাজস্ব খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

নির্বাচন কমিশননির্বাচন কমিশনের স্মার্ট কার্ড সংক্রান্ত প্রকল্পে কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়োগ ও উচ্চতর গ্রেড প্রদানের প্রস্তাব রয়েছে। এতে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রাজস্ব খাতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা প্রকল্পে জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কমিশন সচিবালয়ে জরুরি সভা ডেকেছে। এই বৈঠক থেকে কর্মবিরতি পালনসহ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘নতুন প্রকল্পের ডিপিপির কিছু প্রস্তাব নিয়ে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সোমবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
জানা গেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পের জনবলের কাঠামোতে আত্তীকরণ এবং টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টারদের ষষ্ঠ গ্রেড প্রস্তাব থাকার বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইসির কর্মচারীরা ক্ষোভ জানায়। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈঠক করেন। সভায় সকল উপ-সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, সহকারী সচিবসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: ‘ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচিতি সেবা প্রদানে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের খসড়া প্রণয়ন করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে প্রকল্পটির বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাবিত ১ হাজার ৬শ ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার প্রকল্পে জনবল দেখানো হয়েছে ২ হাজার ২৪ জন। এই জনবল চলমান ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্স অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)’ প্রকল্পে কর্মরত রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এ কারণে ইসি নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করছে। এতে চলমান প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টারদের সরাসরি আত্তীকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বর্তমানে তারা দশম গ্রেডে চাকরি করলেও নতুন প্রকল্পে তাদের ষষ্ঠ গ্রেডে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ইসির অর্গানোগ্রামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া পাঁচ বছর পর তাদেরকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে কথাও বলা হয়েছে।