তিনি বলেন,‘সেনাবাহিনী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে রবিবার থেকে পুরোদমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে ত্রাণকার্ড করে দেবো। তাহলে এক সপ্তাহের খাবারসহ যাবতীয় সহযোগিতা একসঙ্গে দিয়ে দিতে পারবো। ফলে তাদেরকে প্রতিদিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না। তাতে দু’পক্ষেরই ঝামেলা কমবে।’
তিনি বলন,কার্ডের পেছনে ক্যালেন্ডার থাকবে,ত্রাণ গ্রহণের পর প্রতিটি কার্ডে তা লিপিবদ্ধ থাকবে। উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পের আশেপাশের রাস্তাঘাটে যানজট ও যেখানে সেখানে রোহিঙ্গাদের জটলা আজ একেবারেই দেখা যায়নি।
রোহিঙ্গাদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে এরই মধ্যে ২০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই জমিতে ১৪শ’ শেড নির্মাণ করা হবে। এসব শেডে ৮৪ হাজার শরণার্থী পরিবারের সংকুলান হবে। প্রতি পরিবারে ৬ জন হিসেবে ৫ লাখ ৪ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক এসব শেডে থাকতে পারবেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শিগগিরই এসব শেড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তবে এই মুহূর্তে ত্রাণ বিতরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাসূত্র।
উখিয়া ডিগ্রি কলেজে স্থাপিত ত্রাণ কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী মেজর রাশেদ আকতার জানান, ত্রাণ কার্যক্রমের পুরো বিষয়টি এখন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। ত্রাণ গ্রহণেও আর সমস্যা নেই। খাতায় লিপিবদ্ধ করে ত্রাণ গ্রহণ করে অস্থায়ী গুদামে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে প্রয়োজন মতো বিতরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা ত্রাণ বিতরণ ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। খবর বাসস।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের নাগরিকত্ব কী হবে?