ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘রাখাইনে সহিংসতা বন্ধের কাজ ও মানবিক সাহায্যদাতা সংস্থাগুলো যেন কাজ শুরু করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা এখন জরুরি।’
গ্র্যান্ডি ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার পর গত দু’দিন কক্সবাজারে ছিলেন। তিনি জানান, ‘এখন পর্যন্ত চার লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আমি সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ওপরে শারীরিক ও যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে।’
কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের অবস্থান সম্পর্কে ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘সেখানে রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা, পানি, স্যানিটেশন ও খাদ্যের প্রয়োজন।’ কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে সেখানে বলা হয়েছে।’
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা প্রধান বলেন, ‘এই নিরাপদ অঞ্চলে কে সুরক্ষা দেবে, সেটি বিবেচনার বিষয়। মিয়ানমারের দায়িত্ব হচ্ছে, তার নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া। তারা না দিলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এই সুরক্ষা দিতে হয়, তাহলে সেটি হবে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।’ রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারকে এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।’
মিয়ানমারে এখন কত জন রোহিঙ্গা আছে, তা জানেন না উল্লেখ করে ফিলিপো বলেন, ‘জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা রাখাইনে কাজ করছে, কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে তাদের কার্যক্রম খুবই সীমিত।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনএইচসিআর এর হাই কমিশনার