প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘চলতি বছরের ২৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, এই একমাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। এরমধ্যে নারী-শিশুই বেশি। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা ১৬ থেকে ১৭ হাজার হলেও সন্তানকে এখনও দুধ পান করাচ্ছেন এমন মাসহ নারীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭০ হাজার।’ তিনি জানান, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সাধ্যমতো রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। আশ্রয় নেওয়া অনেকে আছেন, যারা বিভিন্ন ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ এখনও ভালো করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী উদ্বেগের সঙ্গে জানান, ‘সেখানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই যেকোনও সময় যেকোনও রোগ মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। এটি ঠেকাতেই আগে থেকেই এর প্রতিরোধ প্রয়োজন। এ জন্যই এই অর্থ সহায়তা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের আশপাশের জেলা থেকে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী এনে ক্যাম্পে নিয়োগ দিয়েছি। সেখানে অনেকগুলো মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।’ প্রয়োজন হলে আরও মেডিক্যাল টিম গঠন করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।