বাংলা ট্রিবিউনের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদটি সংগ্রহ করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলালের বক্তব্য জানতে চান। এসময় তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে সমস্যাটি সমাধানের নির্দেশ দেন। ডিএসসিসির অঞ্চল-২-এর নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এ কে এম মামুনুর রশিদ ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে তাৎতক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেন।
সমস্যা সমাধানে দায়িত্ব দেওয়া হয় দফতরের একজন প্রকৌশলীকে। তিনি এলাকায় গিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের পানি অপসারণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এলাকাটি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নতুন সংযুক্ত হওয়া দক্ষিণগাঁও ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড মাত্র। এতে অনুষ্ঠানিকভাবে এখনও সিটি করপোরেশন প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু না করলেও সংবাদ প্রকাশের পর ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএসসিসি।
স্থানীয় একটি বাড়ির মালিক জওয়াহের আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই পানিবন্দি ছিলাম। নন্দীপাড়ার এই রাস্তাটি দিয়ে কেউ চলা ফেরা করতে পারত না। সড়কে হাঁটুসমান পানি ছিল। মানুষের বাসা-বাড়িতেও পানি উঠে গেছে। এলাকায় বালু ভরাট করে কয়েকজন প্লট মালিক আমাদের এলাকাটিকে পানিবন্দি করে রেখেছিলেন।’
জওয়াহের আলী আরও বলেন, ‘এলাকার অনেকেই স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের আমাদের বন্দিদশার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বাংলা ট্রিবিউনে খবরটি প্রকাশের পর দেখি দায়ী ব্যক্তিদের টনক নড়েছে। তারা এখন পাম্প দিয়ে পানি অপসারণ করছে।’
জানতে চাইলে ডিএসসিসির অঞ্চল-২-এর নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এ কে এম মামুনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন যুক্ত হওয়া এলাকাগুলোতে এখনও আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয়নি। তবে সব মানুষকে সেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। বাংলা ট্রিবিউনের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পানি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছি। এখন তারা নিজ উদ্যোগেই পানি অপসারণ শুরু করেছেন। এতে এলাকার মানুষ উপকৃত হলেই আমরা খুশি।’ ভবিষ্যতেও এভাবেই মানুষের জন্য কাজ করতে চান বলে জানান তিনি।