রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ

 

রোহিঙ্গা সংকটমিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ, রোহিঙ্গাদের মাঝে অবিলম্বে মানবিক সাহায্য কার্যক্রম শুরু ও কফি আনান কমিশন রিপোর্টের বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করবে। তার আগে মঙ্গলবার এই রাষ্ট্রগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী আলোচ্য বিষয় ঠিক করে রেখেছে। নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত একজন কূটনীতিক বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।  

এই কূটনীতিক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ সাতটি দেশ রোহিঙ্গা বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার জন্য নোটিশ দেয়। এরপরই এই ইস্যুতে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবারের আলোচনায় ওই বিবৃতিতে দেওয়া বক্তব্য প্রাধান্য পেতে পারে। 

এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের ৯ সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা বিষয়ে ব্রিফ করবেন। এই দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, সুইডেন, জাপান, মিশর ও ইটালি।’

প্রসঙ্গত,  ১৩ সেপ্টেম্বর দেওয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া, সামজিক-আর্থিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করা ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনেরও আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়।