শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রমত্তা পদ্মার প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। নদীর তলদেশে মাটির স্তরের গঠন নিয়ে জটিলতার সমাধান করা হয়েছে। এখন প্রবল স্রোতকে উপেক্ষা করে পদ্মার দুপাড়ে মূল সেতুর পাইলিংয়ের কাজ চলছে। জাজিরা অংশে সব পিলারের পাইলিংয়ের মাটি পরীক্ষার কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।’
এ মূহুর্তে সরকারের লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া। সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান করতে দুই পিলারের মধ্যে স্প্যান বসানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, পদ্মার জাজিরা পয়েন্টে চলছে পাইল ড্রাইভ এবং মাওয়া পয়েন্টে ট্রাস ফেব্রিকেশন ইয়ার্ডে চলছে স্টিলের কাঠামো ও স্প্যান জোড়া দেওয়ার কাজ। পিলারের ওপরে গাড়ি চলাচলের জন্য বসানো হবে এসব স্প্যান।
সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা জানান, পদ্মা সেতুতে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি করে মোট ৪২টি পিলার হবে। যার মধ্যে এখন কাজ চলছে ১৬টির। পিলার বসবে পাইলের ওপর এবং মোট পাইল ২৪০টি। এর মধ্যে ৩০টি পাইলের কাজ পুরোপুরি এবং ৫৯টির কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। এসব পিলারের ওপর বসানো হবে স্প্যান। স্প্যানের ওপর ঢালাই দিয়ে গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী করা হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের নিচে রড বেঁধে ক্যাপ লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাপ লাগানো শেষ হলেই এদুটি পিলারের ওপর বসানো হবে প্রথম স্প্যান। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ৪২ নম্বর পিলার পর্যন্ত মোট ৫টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এদিকে হ্যামার জটিলতায় প্রায় ২৫ দিন বন্ধ থাকার পর গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে পদ্মার তলদেশে ৩৬ নম্বর পিলারের পাইল বসানো শুরু হয়। যেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে দুই হাজার ৪শ’ কিলোজুল ক্ষমতার একটি জার্মান হ্যামার। এই হ্যামার মেরামতের প্রয়োজনে পাইল বসানোয় সেতুর কাজ কয়েক দিন বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন:
যেভাবে সাব জেলে জন্মদিন কেটেছিল শেখ হাসিনার
একজন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন আজ: কেক না কাটার নির্দেশ
হিন্দু গণকবর: চ্যালেঞ্জের মুখে ভারতের রোহিঙ্গাপন্থী লবিস্টরা
সাকিবহীন বাংলাদেশের নতুন চ্যালেঞ্জ
ফরেনসিক মেডিসিন শিক্ষার বেহাল দশা!
রোহিঙ্গাদের কিছুই নেই, ফিরে যাওয়া কঠিন: জাতিসংঘ শরণার্থী কমিশন