সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করা হলেও সরকারি নির্দেশে এখন তা বাদ দেওয়া হয়েছে। পরে এ কার্যক্রমের নামকরণ করা হয় ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’। শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু হিসেবে গণনা করা হচ্ছে বলে জানান কর্মসূচি সংশ্লিষ্টরা।
এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে গেছেন সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. সাজ্জাদুল ইসলাম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের খুঁজে পাওয়া চার হাজার ৮০২টি এতিম শিশুর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি করা হয়েছে এক হাজার ৪১২ জনের। এর মধ্যে এক হাজার ১৬৪টি শিশুর সব তথ্য ভেরিফিকেশন করা হয়েছে।’ তিনি জানান, এই শিশুদের কয়েক ভাগে ভাগ কার হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ২৭ ভাগ শিশুর বাবা-মা কেউই নেই। বাবা নেই ৫৭ শতাংশের। আবার বাবা বা মা বেঁচে আছেন কিনা সেটা বলতে পারে না শতকরা ৩ ভাগ শিশু। এই শিশুরা রয়েছে তাদের আত্মীয়দের কাছে। আবার বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন বা অপরিচিতদের কাছে রয়েছে পাঁচটি শিশু। রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার সময় রাস্তায় বা নদীতে নৌকায় পেয়ে এই শিশুদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে।
কিভাবে এ কর্মসূচি পরিচালনা করছেন জানতে চাইলে ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’কার্যক্রমের সুপারভাইজার মো. এমরান খান বলেন, ‘প্রথমে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি সেই শিশুদের, যারা বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে। এরপর রয়েছে যেসব শিশু বাবা হারিয়েছে তাদের।’ মা-বাবা হারানো শিশুদের এক জায়গায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই শিশুদের মধ্যে যেসব বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়ে আছে, তাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
এমরান খান আরও বলেন, ‘১২ থেকে ১৮ বছরের মেয়েদের এক জায়গায় রাখা হবে এবং বাকিদের এভাবে গ্রেডিং করা হবে। রয়েছে প্রতিবন্ধী শিশুও- তাদের পৃথক রাখা হবে। ফরমাল এডুকেশনের মধ্যে এসব শিশুকে নিয়ে আসারও পরিকল্পনা রয়েছে।’