বাংলাদেশে প্রবেশ করছে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা (ছবিতে)

nonameমিয়ানমার থেকে এখনও বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী। মাঝে শরণার্থীদের চাপ কিছুটা কমলেও নতুন করে তা আবার বেড়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া থানার পালংখালী সীমান্ত এলাকার লম্বাবিল দিয়ে গত কয়েকদিনের মধ্যে সোমবার (৯ অক্টোবর) সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

noname

রাতভর নাফ নদীর ওপারে জড়ো হয়ে সকাল সকাল নৌকায় করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কেউবা আবার ভাটার সময় পানি পেরিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেন। এ প্রতিবেদক যখন পালংখালীর গ্রাম পার হয়ে নদীর দিকে যায় ঠিক তখন দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ঈদের সময় এয়ারপোর্ট স্টেশনে ট্রেনের ওপর মানুষের ভিড়ের মতো একটা ছবি।

noname

যত কাছে যাই মানুষের ভিড় তত বাড়ে। চারদিকে ছোট্ট শিশুদের কান্নার শব্দ। ভিড়ের মধ্যে মধ্যবয়সী মো. লতিফ-এর কাছে জানতে চাইলাম, কখন আসলেন? উত্তরে বললেন, সাতদিন জঙ্গল আর পাহাড়ে পায়ে হেটে পরিবারের ১১ জন সদস্য নিয়ে সকালে এখানে এসেছি। লাইনের শেষদিকে গিয়ে একটি কুকুর নদী পার হয়ে আসছে। আমি খুব অবাক হয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, কুকুরটা কোন দেশের? তখন খুরশেদ আলম নামে একজন বলে উঠেন, এটা আমার পোষা কুকুর। আমরা সবাই চলে এসেছি। নৌকায় ওর জায়গা হয়নি। তাই ওকে রেখে এসেছিলাম। এখন দেখি নদী পার হয়ে একাই চলে আসলো। কোথা থেকে আসছেন জিজ্ঞেস করলে বলেন, রাসিডং গ্রামের বাকি আমরা সবাই একসঙ্গে রওয়ানা দিয়েছি।

noname

নূর আলম, বলেন নদীর ওপারে এখনও অনেকে জঙ্গলে বসে আছেন। গতরাতে আমাদের সঙ্গে আসা তিন নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

noname

পালংখালীর ক্যাম্পে আনার আগে অল্প অল্প করে একটি মসজিদের সামনে আনা হয় রোহিঙ্গাদের। গণনা ও প্রাথমিক সেবা দেওয়া এবং কে কোন ক্যাম্পে যাবে তা ঠিক করার জন্যই তাদের সেখানে আনা হয়। তখন কথা হয় বিজিবি’র একজন সদস্যের সঙ্গে। পদবী ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, বিকাল পর্যন্দ প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আমরা এখান থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠিয়েছি। যারা এখনো লাইনে অপেক্ষা করছে তাদের সংখ্যা এদের চেয়ে কোনও অংশে কম হবে না।

noname

বিজিবির  চিকিৎসক টিমের সদস্য ক্যাপ্টেন রুবেল বলেন, বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষকে আমরা প্রাথমিক ঔষধসহ খাবার ও পানি দিয়েছি। আরা যারা ইনজুরড তাদের ড্রেসিংসহ ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি।

noname

বিকাল ৫টার পরও নোম্যান্সল্যান্ড পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সরু রাস্তায় কয়েক হাজার মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

noname

noname

noname

noname