নাফ নদীর তীরে কাঁদছে মানুষ!

নবজাতক কোলে রোহিঙ্গা নারী

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ছবি তুলতে গিয়েছিলাম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখানে শিশুদের কান্নার শব্দ শুনেছি। যা কর্ণকুহর থেকে কোনোভাবেই বের হচ্ছে না। নাফ নদীর পাড় ঘেঁষে লম্বাবিলের সরু পথ। যেখানে পানি আর পাখির শব্দ কানে আসার কথা, কিন্তু সেখানে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মগদের হাত থেকে জীবন নিয়ে বেঁচে ফেরা রোহিঙ্গা শিশুদের কান্না। সেখানের ভারী বাতাসজুড়ে শুধুই ক্ষুধার যন্ত্রণা।

অনেকগুলো শিশু নিয়ে বিপাকে শরণার্থী রোহিঙ্গা মা
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সেখানে কারও দিকে তাকানো যায় না। কেউ সাতদিন কেউ ৯/১০ দিন পায়ে হেঁটে পরিবার সদস্যদের নিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এমনকি নাফ নদী পাড়ি দেওয়ার আগে পাহাড়ি জঙ্গলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন কয়েকজন মা।

দুর্গম যাত্রায় নবজাতকের আহাজারি, মায়েল চোখে শূন্য দৃষ্টি

 

অন্যদিকে পাঁচ/ছয় মাস বয়সী শিশুরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছটফট করছে। ওই এলাকার নদী ও বিলগুলোতে পানি থাকলেও মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। আর শিশুরা পাচ্ছে না মায়ের বুকের দুধ। ছবিতেই উঠে এসেছে রোহিঙ্গাদের জীবনচিত্র।

অনিশ্চিত জীবনের পথে সন্তানকে নিয়ে রোহিঙ্গা পিতা

 

সাত-দশদিনের চেষ্টায় এভাবেই সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন তারা

জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে স্বস্তি খুঁজছে, কিন্তু স্বস্তি আছে কী!