প্রধান বিচারপতির বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত জিও জারি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (ফাইল ফটো)প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত সরকারি আদেশ (জিও) জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আইনমন্ত্রণালয় থেকে এই জিও জারি করা হয়।

আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদেশ জারি হয়েছে। এখন প্রধান বিচারপতি যেকোনো সময় বিদেশ যেতে পারবেন। তিনি ফিরে না আসা পর্যন্ত আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার বিষয়ে জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) জারির ফাইলে সই করেন।

জিওউল্লেখ্য, ২৫ দিনের  অবকাশ শেষে ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার দিনই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এ নিয়ে রাজনৈতিকমহল ও আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনার ঝড় ওঠে। এর আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় এবং বিচারিক আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি সংক্রান্ত গেজেট নিয়ে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায় প্রধান বিচারপতিকে জোর করে ছুটিতে পাঠানোর অভিযোগ তোলেন বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদসহ আইনজীবী সমিতির একাংশ। তবে সরকার ও আওয়ামী লীগ এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। প্রধান বিচারপতি বা আদালতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই প্রধান বিচারপতি সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পাঁচ বছরের ভিসার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেন। দেশটিতে বর্তমানে তাদের বড় মেয়ে সূচনা সিনহা অবস্থান করছেন। তাদের তিন বছরের ভিসা দেয় অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস। এরপর গত ১০ অক্টোবর তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে তার বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করেন। ওই চিঠিতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে চান বলে উল্লেখ রয়েছে। তার এই চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পরই জিও দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারিতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এস কে সিনহার আগামী ৩১ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: 
বাংলাদেশে সাইবার বীমা কবে?
‘বুক থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে আগুনে ছুড়ে মারে মিয়ানমারের সেনারা’
সিভিল এভিয়েশন ভেঙে হচ্ছে দু’টি সংস্থা