শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিক্রি করতে তারা এনেছিলেন এক লাখ ডিম। তবে এই নিয়ে ঘটে যায় লঙ্কাকাণ্ড।
আগে থেকেই জানা থাকায় নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই রাজধানীর খামাবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আসতে শুরু করেন হাজার হাজার ক্রেতা। ফলে কিছুটা আগেই শুরু হয় বিক্রি।
কিন্তু বিক্রি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। এতে করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
ভিড় সামলাতে না পেরে আয়োজকরা দ্রুত ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
এখানেই শেষ নয়, ডিম কিনতে এসে না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে চলে যেতেও বলা হয় মাইকে।
পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাঁড়ানোয় ক্রেতাদের ওপর বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় পুলিশ। লাঠিচার্জও করে তারা। কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
ডিম কিনতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রেতা। এজন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন তারা।
রাজধানীর জিগাতলা থেকে এসেছেন মাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে এসেছিলাম। কিন্তু ডিম কিনতে পারিনি। বরং ভিড়ের মধ্যে পুলিশের পিটুনি খেয়েছি। আয়োজকরা কি মানুষজনকে পেটাতে এই আয়োজন করেছে? প্রশাসন তাদের কিছু না বলে পুলিশ দিয়ে মার খাওয়ালো কেন?
মহাখালী থেকে ডিম কিনতে আসা নাজমা আক্তার বলেন, ‘সকালেই এসেছিলাম। কিন্তু ডিম পাইনি। ভিড়ের মধ্যে মোবাইলটি হারিয়েছি। এমন ব্যর্থ আয়োজনের জন্য আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
তবে এতকিছুর পরও আয়োজকদের দাবি, তাদের উদ্যোগ সফল হয়েছে। আধা ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৮০ হাজার ডিম বিক্রি হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তারা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ‘আমরা যে রকম প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষের সাড়া পেয়েছি। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য ডিম বিক্রি করা যায়নি। এজন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন-
তিন টাকার ডিম নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড (ভিডিও)
‘ডিম তো পেলামই না, উল্টো মার খেলাম’