খাল দখলের কথা শুনেও চুপ প্যানেল মেয়র

ডিএনসিসি এলাকার অঞ্চল-২ কার্যালয়ে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন ও পরিচিতি সভায় প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি ও অন্যরাখাল দখলের কথা শোনার পরও চুপ থাকলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ডিএনসিসি এলাকার অঞ্চল-২ কার্যালয়ে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন ও পরিচিতি সভায় তার মৌনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সভায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্যানেল মেয়রকে জানানো হয়, রায় চন্দ্রপুর খাল দখল করেছেন ওই এলাকার কাউন্সিলর। কিন্তু তিনি এর কোনও প্রতিবাদ জানাননি। প্রথমে চুপই ছিলেন। এরপর তার মুখে সাফাই হিসেবে শোনা গেছে, ‘একজন কাউন্সিলর এমন কাজ করতে পারেন না।’

এক প্রশ্নের মাধ্যমে প্যানেল মেয়রকে জানানো হয়— মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব আট কিলোমিটার দীর্ঘ খালের কিছু অংশ দখলে নিয়েছেন। এরপর নিজেই সেখানে ট্রাক স্ট্যান্ড উদ্বোধন করেছেন।

কিন্তু ওয়ার্ড কাউন্সিলের অনিয়মের খবর পেয়েও কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাননি প্যানেল মেয়র। এ সময় তার পাশে বসে থাকা ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘এই অঞ্চলের কোনও সমস্যা থাকলে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করুন।’

এদিকে সভার শুরুতে ওসমান গণি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ১০৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের বিলে স্বাক্ষর করেছি। যার মধ্যে আংশিক ও চূড়ান্ত বিল রয়েছে। কোনও ঠিকাদার বলতে পারবেন না তিনি টাকা পাননি। ঠিকাদারদের কাজ বন্ধ রাখার কোনও উপায় নেই।’

সভার একাংশে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মিরপুর জোনে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮টি রাস্তা রয়েছে, যার ২৬২টির কাজ আংশিক ও কিছু রাস্তার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া ৩৬টি রাস্তা অবৈধ দখলে থাকায় কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আগামী বছর কি কাজ হবে তার দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। সভায় আরও ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও মিরপুর জোনের কাউন্সিলররা।