পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমার মায়ের বয়স শত বছর। আমি মাকে নিজের কাছে রাখি। তাই মা-বাবাকে সবসময় কাছে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মা-বাবা বয়স্ক হলেও সম্পদ। আমাদের চলার পথের অনুপ্রেরণা। মা-বাবাকে সবসময় ভালোবাসতে হবে। সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় যেন না হয়।’
চিকিৎসার আধুনিকায়নের ফলে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বেই এই হার বাড়ছে। আমাদের দেশে ৭ শতাংশ মানুষের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। জাপানে ১৫ শতাংশ মানুষ বৃদ্ধ। বয়স্ক মানুষের সুফল পেতে হবে তাদের অর্জিত জ্ঞান-গবেষণা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমরা কেউই পৃথিবী ছেড়ে যেতে চাই না। আমিও শতবছরের অধিক সময় বাঁচতে চাই। আপনারা প্রতিদিন বেশি বেশি ফল খাবেন। সবসময় পানি খাবেন। এতে আয়ু বাড়বে।’
দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার কমছে সব সময়। দারিদ্র্য সব দেশেই থাকে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় গরিবের সংখ্যা বাংলাদেশের থেকে বেশি। ১১৭ বছর আগে পুরো আমেরিকায় মাত্র ৮ হাজার যানবাহন ছিল। সেই তুলনায় বাংলাদেশও সঠিক পথে আছে, সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সব খাতে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালয় অংশ নেন, জিইডি সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) জুয়েনা আজিজ, পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম ফৌজিয়া জাফরীন, রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. পি সি সরকার প্রমুখ।