শুক্রবার সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে বাংলা ট্রিবিউনের এই প্রতিবেদক ফাঁস হওয়া একটি প্রশ্নপত্র হাতে পান। যা শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে শতভাগ মিলে গেছে।
তবে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমনটি মানতে রাজি হননি ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে কয়েকজন পরীক্ষার্থী জালিয়াতির চেষ্টা করেছে। তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন,‘এমন কোনও অভিযোগ বা তথ্য আমাদের কাছে নেই। এটা হতে পারে না।’
এদিকে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, ইংরেজি প্রথম প্রশ্ন ছিল ‘‘হোয়াট ইজ দ্য মিনিং অব দ্য ইডিওম ‘টু ফলো ইয়র নোজ’?’’ তৃতীয় প্রশ্ন ছিল “দ্য হাইওয়ে এজেন্স. . . বেড ওয়েদার...” অস্টম প্রশ্ন ছিল “জার্মানি হ্যাজ ওন দ্য ফুটবল ম্যাচ...” ১২তম প্রশ্ন ছিল “দিস ইজ দ্য স্কল হুইচ...” এবং ২০ নম্বর প্রশ্ন ছিল “অ্যা পিস অব কেক মিনস”।
শুক্রবার পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা গেছে, একটি সেট ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে।
এবার ঢাবি ক্যাম্পাসে ৫৩টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে রাজধানীর ৩৩টি স্কুল-কলেজসহ মোট ৮৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬১০টি (বিজ্ঞানে-১১৪৭টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৫৪ জন।