‘৩০ লাখ মানুষের শহীদ হওয়ার কথা বিশ্বাস করেন না খালেদা’

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সজীব ওয়াজেদ জয়

স্বাধীনতার চেতনা না থাকলে আত্মমর্যাদা বাড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, ‘যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা আত্মমর্যাদাশীলও হতে পারে না। শহীদদের ইতিহাস নিয়ে কাউকে মিথ্যাচার করতে দেওয়া যাবে না। যারা স্বাধীনতার শহীদদের কথা ভুলে যায়, তারা জাতি হিসেবে বড় হতে পারে না। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের শহীদ হওয়ার কথা বিশ্বাসই করে না।’

শনিবার সাভারে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (সিআরআই)  আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘১০ বছর আগে আমাদের কী পরিচয় ছিল? আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এ দেশকে তখন জঙ্গিবাদের দেশ বলা হতো। এদেশকে বলা হতো আরও একটি পাকিস্তান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে এতো উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে যে, আমাদের এখন বলা হচ্ছে বিশ্বের ১১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।’ তিনি বলেন, ’১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসে। তখন থেকে এদেশকে ভিক্ষুকের দেশ বলা শুরু হয়।’

সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের কথা উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘তিনি এদেশকে বিদেশের কাছে ভিক্ষুক দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তখন এদেশের কিছু সুশীল বিদেশে গিয়ে ফান্ড নিয়ে আসতো, কিন্তু সে ফান্ড দেশের মানুষের উপকারে আসতো না। ওই সব সুশীলরা বিভিন্নভাবে টাকা পাচার করতো।’

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। বিশ্ব ব্যাংক মনে করেছিল, তাদের অর্থ না পেলে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবো না। এর অর্থের জন্য তাদের পা ধরবো। কিন্তু আওয়ামী লীগ মাথানত করার দল নয়। তাই বর্তমান সরকার নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন এক দেশ, যেদেশের আত্মবিশ্বাসী মানুষরা লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। কারও সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই আমরা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছি। এখন আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।