বিক্রেতারা বলছেন, সকালই নগরবাসীর কাঁচাবাজার সংগ্রহের অন্যতম সময়। কিন্তু শনিবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হননি। এ কারণে খুচরা বিক্রেতারাও আড়ত থেকে পণ্য সংগ্রহ করেননি। ক্রেতা কমে যাওয়ায় আড়তদাররা শাক-সব্জি বিক্রি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় যে ক’জন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে তারা আড়তদারদের কেনা দামেও পণ্য নিচ্ছেন না।
শনিবার বিকালে কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের বিভিন্ন গলিতে এমনকি অনেকের আড়তে পানি উঠে গেছে। এ কারণে আলু, পেঁয়াজসহ পচনশীল পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে ভেজা মাল শুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় আড়তে থাকা মালামালগুলো দ্রুত বিক্রির চেষ্টা করলেও চাহিদামতো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
পিঁয়াজ বিক্রেতা জাহিদুল ইসলামও মনে করেন,খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের অর্ধেকেরও বেশি শনিবার বাসা থেকে বের হননি। তার কথায়, ‘সাধারণ ক্রেতারাও ঝড়-বাদল আর পানি ডিঙিয়ে বাসা থেকে বের হতে চাননি। এ কারণে বাজারে আজ চাহিদা কম। বৃষ্টি বন্ধ হলে আবার চাহিদা বাড়বে। কিন্তু আমাদের যেসব মালামাল ভিজে গেছে সেগুলো বিক্রি করতে না পারলে পচে যাবে। তাই লোকসান হবে ব্যাপক।’
সরেজমিন দেখা গেছে— আলু পাইকারি বাজারে ১৮-২০ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৬ টাকায়। মুলা পাইকারি বাজারে ১৮ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকায়। কাঁচামরিচ পাইকারি বাজারে ৮০-১১০ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা। আদা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।
দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৪৮-৫০ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। রসুন পাইকারি বাজারে ৬৫ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। শসা পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। খুচরা বাজারে ব্রয়লার ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
৩৬ টাকা দরে বরবটি কিনেছেন জানিয়ে বিক্রেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এখন একই দামে বিক্রি করে দিতে চায় এমন ক্রেতা আজ নেই। বেশকিছু কাঁচামাল পচে গেছে, এ কারণে লোকসানও হবে অনেক টাকা।’
বেগুন ৩০-৩২ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকা। বেগুনের পাইকারি বিক্রেতা রায়হান বললেন, ‘গ্রাহক কম। তাই চাহিদাও কমে গেছে। এ কারণে দামও কমে এসেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে বাজার আবার দাঁড়িয়ে যাবে।’