আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় পুরো ফ্লাইওভারটি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। বিকাল ৩টার পর থেকেই তা পরিণত হয় তীব্র যানজটে। বিশেষ করে ফ্লাইওভার থেকে নামার অংশে এমন চিত্র বেশি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ফ্লাইওভারে গিয়ে দেখা যায়, এর ইস্কাটন অংশ থেকে শুরু হয়ে মৌচাক মোড়ের সিগন্যাল পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। এ পথটি দিয়েই মাইক্রোবাস চালিয়ে যাচ্ছেন শারাফত হোসেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কী জ্যাম, দেখছেন? পৌনে এক ঘণ্টা হয়েছে। মৌচাক অংশ থেকে ইস্কাটনে নামতে পারিনি। সামনে কখন যে সিগন্যাল ছাড়বে, বলা যাচ্ছে না।’
শাহজাহানপুরের বাসিন্দা আরমার হোসেন বলেন, ‘সাত রাস্তা থেকে উঠে মগবাজার হয়ে একটানে মগবাজার হয়ে ওয়্যারলেসে চলে আসি। সেখান থেকে ফ্লাইওভারের দ্বিতীয় তলার মৌচাক অংশে আসতে না আসতেই যানজটের শুরু। এরপর রাজারবাগ পর্যন্ত আসতে প্রায় আধাঘণ্টা লেগেছে।’
মালিবাগ ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা তমা গ্রুপের একজন কর্মী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফ্লাইওভারের একেকটা তলায় ওঠার পর কিছু দূর যেতে না যেতেই যানজট শুরু হয়। দুপুরের দিকে গাড়ির চাপ কিছুটা কম ছিল। কিন্তু বিকালের পর থেকেই চাপ বেড়েছে।’ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘ফ্লাইওভার থেকে নামার পর ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে যায় গাড়ি। এ কারণেই ফ্লাইওভারের নামার অংশে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে।’
শুধু ফ্লাইওভারে নয়, যানজট দেখা গেল নিচের সড়কেও। প্রতিটি সড়কেই গণপরিবহন ও রিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সিগন্যাল ছাড়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সন্ধ্যার দিকে যানজটের এমন তীব্রতা দেখা গেলেও দুপুরের দিকে ছিল ভিন্ন চিত্র। ওই সময় চোখের পলকেই ফ্লাইওভার ব্যবহার করা যানবাহন ছুটেছে গন্তব্যে। ওই সময় ফ্লাইওভার থেকে নামার পর সিগন্যালগুলোতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে যানবাহনকে। দুপুর দেড়টার দিকে নিউ ইস্কাটন থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত সড়কে একেকটা সিগন্যাল ছাড়তে গড়ে আট থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত সময় লেগেছে।
ইস্কাটনের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অনেকদিন দুর্ভোগ সহ্য করার পর মনে করেছিলাম ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর যানজট থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে যে চিত্র দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে দুর্ভোগ আমাদের ছাড়বে না। চিরচেনা সেই যানজট আমাদের ভোগ করতেই হবে।’
ফ্লাইওভারে যানজটের বিষয়ে জানার জন্য প্রকল্প পরিচালক ও এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার পালকে বারবার ফোন করেও তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন-
ডিজিটালি মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী