রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ

সিপিএ নির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে শিরীন শারমিন চৌধুরী (ছবি: এমরান হোসাইন শেখ)মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ। ঢাকায় চলমান কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) এর ৬৩ তম সম্মেলনে আগামী ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলবেন। তিনি সিপিওভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে অবহিত করে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাইবেন।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সিপিএ নির্বাহী কমিটির বৈঠকের এক পর্যায়ে সিপিএ’র চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সিপিএ সম্মেলনের এজেন্ডাগুলো আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে। মূল এজেন্ডায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি ছিল না। তবে বিষয়টি যেহেতু স্বাগতিক বাংলাদেশের জন্য বড় একটি বিষয় এবং এটি আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও পরিণত হয়েছে এ কারণে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি সম্মেলনে বিশেষ কমপোনেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সিপিএ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বিষয়টি প্রতিনিধিদের অবহিত করা হবে। সংকট মোকাবিলা করে দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আমরা তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন চাইবো। সিপিএ’র ৪৪টি দেশের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ জনপ্রতিনিধিরা আমাদের সম্মেলনে আসছেন। রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আমরা তাদের অবহিত করতে পারলে তারা নিজ নিজ দেশের পার্লামেন্টেও এই সংকট নিয়ে ভূমিকা রাখতে পারবেন।’

এর আগে সিপিও চেয়ারপারসনের সভপতিত্বে সিপিও নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন সস্পর্কে স্পিকার বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে সম্মেলন শুরু হয়েছে। সিপিএ’র ১৮০টি ব্রাঞ্চের মধ্যে ১১০টি ব্রাঞ্চের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিচ্ছেন। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিনিধিদের আসা অব্যাহত থাকবে। ৫ নভেম্বর সিপিসি (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স ২০১৭) এর ভাইস প্যাট্রন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সংসদভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এটি হবে। এর মধ্য দিয়ে সম্মেলনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।’

আরও পড়ুন- আজ ঢাকায় শুরু হচ্ছে সিপিএ সম্মেলন