কাতারের বাজারে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানির সম্ভাবনা

বাংলাদেশ-কাতারকাতারের ওপর সৌদি জোটের জারি করা অবরোধের চার মাস পেরিয়ে গেছে। এই ১২০ দিনের বেশি সময়ে অনেক বদলে গেছে দেশটি। রাজনৈতিক আর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মতো বড় পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে কাতারের অর্থনীতিতেও। 
অবরোধ শুরুর পর থেকে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাই স্থানীয় উৎপাদন শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিকল্প বাজার খুঁজে নিয়েছে কাতার। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখন বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছে এই দেশ। তাই সেখানে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 
সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করতে গত মাসে দোহা সফর করেছে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় দোহা ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে কাতারের উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রফতানির আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ, দোহা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিতারামসহ বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউজ্জামান। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা।
এ সময় বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের বিকাশ ও সাম্প্রতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও পরিচালক হালিমুজ্জামান। তিনি বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ। বিশ্বে বাংলাদেশি ওষুধের বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন কাতার চেম্বার, হামাদ মেডিক্যাল করপোরেশনসহ কাতারের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।