মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধিতে আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকার দলের এই সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে পৃথিবীর সামনে মানুষের কাছে উপস্থাপন করার জন্য ইউনেস্কোসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ যেমন সারা বাংলাদেশকে ধারণ করেছে, তেমনি বাংলাদেশের মানুষও এই ভাষণটিকে ধারণ করে আছে। আজ এই স্বীকৃতির মাধ্যমে সারাপৃথিবীর মানুষ ধারণ করলো।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে দেশে দেশে যতদিন মুক্তিকামী মানুষ থাকবে, যতদিন মুক্তিযুদ্ধের কথা থাকবে, ততদিন এই ভাষণ মুক্তিকামী মানুষদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। এই ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতে দেশে দেশে মুক্তি নিয়ে আসবে।’
কাজী নাবিল বলেন, ‘জাতির জনক ১৯৪৮, ৫২, ৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০ এবং ৭১ এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মুক্তির জন্য প্রস্তুত করেন। তিনি একজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তি হিসেবে বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্তি করতে পেরেছেন।’
তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণকে বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর অনেক ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। যদি ভাষণের মাধ্যমে কোনও জাতি স্বাধীন হয়ে থাকে, তাহলে একমাত্র বাঙালি জাতি ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সূচিত হয়েছে। এটা সর্বজন স্বীকৃতি।’
তিনি বলেন, ‘‘ওই সময় সারাদেশের মানুষ তাকিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে কী বলবেন। তাঁর কাছে বিভিন্ন প্রলোভন ছিল। তিনি ছিলেন সব কিছুর ঊর্ধ্বে। তার বক্তব্যে এসেছে বার বার- ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি মানুষের অধিকার চাই।’ এই একটি প্রশ্নে অন্য সব নেতার সঙ্গে তাঁর প্রধান পার্থক্য। তিনি সারাজীবন কখনও আপোষ করেননি। বাঙালির অধিকারের জন্য মানুষের অধিকার ও মুক্তির জন্য সব সময়ে তাঁর একাগ্রতা ছিল। অধ্যবসায় ছিল বাঙালির জন্য মুক্তির স্বাদ তিনি কী করে নিয়ে আসবেন।’’
আরও পড়ুন: