‘বর্ধিত’ হোল্ডিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবিতে মেয়রকে স্মারকলিপি

বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দাদের সংগঠন ‘আমরা ধানমন্ডিবাসী’। এ জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়রের পক্ষে তার একান্ত সচিব কবীর মাহামুদ স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।

স্মারকলিপিতে ‘আমরা ধানমন্ডিবাসী’র পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে- হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতায়নের নামে বর্ধিত অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক কর বাতিল করতে হবে।  হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির আগে নগরবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় ও কমিটি গঠনের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ট্যাক্স নির্ধারণ করতে হবে। ঢালাওভাবে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা যাবে না। সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে ৫ বছর পর পর নিয়মানুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে হবে, যাতে এটি  কারোর জন্য বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। বর্তমান করের সহিত প্রস্তাবিত কর কোনোভাবেই ১০-১৫ শতাংশের বেশি করা যাবে না। 

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্সের ক্ষেত্রে সমতা আনতে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন,বাড়ি বা ফ্ল্যাটের হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিমাণ ৩ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ট্যাক্স বৃদ্ধির এই হার শুধুমাত্র অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিকই নয়, বরং এই বর্ধিত করের বোঝা আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ ও এলেমেলো করে দেবে। সবচাইতে অবাক করার বিষয় হলো হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র বাড়িভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় এনেছেন। অথচ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বাড়ি করার ব্যয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংক ঋণের বিষয়টিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা  হয়েছে। তাই, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত এই হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করে পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরাও বিশ্বাস করি সঠিক উন্নয়ন করতে হলে করই একমাত্র আয়ের উৎস।কিন্তু সেই কর হতে হবে যৌক্তিক, স্বাভাবিক ও পরিশোধযোগ্য। এ কারণে স্মারকলিপিতে যৌক্তিকভাবে কর বৃদ্ধির বিষয়ে সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

‘আমরা ধানমন্ডিবাসী’র আহবায়ক মোহাম্মদ শওকত হোসেনের নেতৃত্বে মেয়র বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়ার সময় অন্যান্য নেতার মধ্যে কামাল আহমেদ, জাহানারা বেগম বাবলী, প্রকৌশলী এম এ মতিন, গোলাম রব্বানি হিরু এবং মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।