রংপুরে সহিংসতা হলেই ভোট বন্ধ: সিইসি

 

কে এম নূরুল হুদারংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘কোনও কেন্দ্রে সহিংসতা হলেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ রবিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে রসিক নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বিজিবির মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসব্রিফিংয়ের সময় সিইসি বলেন, ‘ভোটাররা যেন নির্ভয়ে ভোট দিয়ে বাসায় ফিরে যেতে পারেন,  প্রার্থীরা যেন তাদের নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
‘রংপুর সিটি নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষা’—এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রত্যাশা কতটুকু  পূরণ পারবে ইসি, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কারও প্রত্যাশা পূরণ নয়, আমরা  অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। তবে বিএনপির আশঙ্কার কিছু নেই।’

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা যেন নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২২ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে অনুষ্ঠানিক প্রচার।

রংপুর সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ৩৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১১টি। ভোটকেন্দ্র ১৯৩টি।