সোনালী ব্যাংকের তিন পদে নিয়োগ আপাতত স্থগিতই থাকছে

হাইকোর্টসোনালী ব্যাংকের সিনিয়ির অফিসার, অফিসার ও অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওইসব পদে নিয়োগ আপাতত স্থগিত থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। 

সোমবার (২০ নভেম্বর) দায়িত্বরত প্রধন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন শামীম খালেদ। এছাড়া নিয়োগ প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, আব্দুল মতিন খসরু, বিএম ইলিয়াস কচি। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

জ্যোর্তিময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, সোনালী ব্যাংকে নিয়োগ নিয়ে ৫৪৩ জন হাইকোর্টের রিট আবেদন করেন। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ ৩২ জনের নিয়োগের বিষয়ে আদেশ দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।

এর আগে গত ২৭ জুলাই হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে ১৩৮ প্রার্থী আবেদন করেন।  

এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। ওই স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংক  আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

তবে আজ সোমবার সোনালী ব্যাংকের সেই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ফলে সোনালী ব্যাংকে তিন পদে নিয়োগ আপাতত স্থগিতই থাকছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারী সোনালী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) ৭২৫, অফিসার পদে ৫৪৭ এবং সিনিয়র অফিসার ৪৩৫ জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই নিয়োগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরও অনেক প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে বাকিদের অপেক্ষমাণ রাখে। এর মধ্যে গত বছর ফের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সোনালী ব্যাংক। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অপেক্ষমাণ থাকা প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন।