সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে না

জাতীয় সংসদ অধিবেশন (ছবি-ফোকাস বাংলা)

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে না। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। এটিকে বাড়িয়ে ৩৫ করা হবে কিনা তা সংসদে জানতে চাইলে বিষয়টি নাকচ করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য  জানান। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংসদে প্রশ্নের জবাবে দেন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। এর আগে বিকাল সোয়া ৪ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ফলে সাধারণ প্রার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও সরকারি চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা বিবেচনায় নেওয়া হয় না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সম্প্রতি চাকরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর হতে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়বে, ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও চাকরিপ্রার্থীরা এনিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছে।