রায়ে সন্তুষ্ট প্রসিকিউশন, পলাতকদের আত্মসমর্পণের অনুরোধ আসামিপক্ষের

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা ও গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে প্রসিকিউশন পক্ষ। আর  ন্যায়বিচার পেতে মামলার পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণ করে আপিলের অনুরোধ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অভিযোগ হলো, বুদ্ধিজীবী হত্যার পরে ওই এলাকাকে (গাইবান্ধা জেলায়) পুরো নেতৃত্ব শূন্য করতে সেখানকার ১৩ জন সাবেক ও তৎকালীন চেয়ারম্যান, মেম্বারকে হত্যা করে। ট্রাইব্যুনাল এসব অভিযোগ গ্রহণ করে তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। এ রায়ে প্রসিকিউশন সন্তুষ্ট।’

এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলায় তিনটি অভিযোগ ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ তিনটি অভিযোগ প্রমাণে যেসব সাক্ষী হাজির করেছে তার অধিকাংশের বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৩/১৪ বছর ছিল। এ বয়সের কারও পক্ষে এ ধরনের ঘটনা বর্ণনা করা অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র দু’টি ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে। আমি মনে করি এ অপরাধ প্রমাণে তা যথেষ্ট না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।’

পলাতক পাঁচ আসামির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি বলবো এ মামলার পলাতক আসামিরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যদি আত্মসমর্পণ করে আপিল করেন তাহলে তারা সাক্ষ্য প্রমাণের বিবেচনায় উচ্চ আদালত থেকে খালাস পাবেন।’

 

আরও পড়ুন:

ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড

 
 

মানবতাবিরোধী অপরাধ: আজিজসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ