বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি হতে পারে বৃহস্পতিবার

রোহিঙ্গা সংকটরোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একটি চুক্তির খসড়া নিয়ে বুধবার (২২ নভেম্বর) দিনভর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সফিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবার সকালে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বৃহস্পতিবার ( ২৩ নভেম্বর) একটি চুক্তিতে  উপনীত হতে পারবো।’

চুক্তিতে কী কী থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখন বলা যাবে না।’

উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৭৮ সালে দু’দেশ চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তির অধীনে দুই লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ছয় মাসের মধ্যে  ফেরত গিয়েছিল। পরে ১৯৯২ সালে দু’দেশের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা হয়, যার অধীনে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যায়।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য দু’পক্ষের মধ্যে সম্প্রতি ছয় বার প্রস্তাব-পাল্টা প্রস্তাব চালাচালি হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয় ২৩ সেপ্টেম্বর এবং মিয়ানমার ইউনিয়ন মন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময়ে গত ২ অক্টোবর ফের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

মিয়ানমার গত ২০ অক্টোবর এর জবাব দিলে বাংলাদেশ পুনরায় ২ নভেম্বর পাল্টা প্রস্তাব দেয়। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নভেম্বর ৬ পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হলে বাংলাদেশ তার দু’দিন পর জবাব দেয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আর গত বছরের অক্টোবর থেকে জুলাই পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।

আরও পড়ুন: 
পোপের বাংলাদেশ সফর, থাকবে পুলিশের ব্লক রেইড