এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ৮৩ রোহিঙ্গা শনাক্ত: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। (ফাইল ছবি)মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮৩ জন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের ২৯ জন পুরুষ, ৪১ জন মহিলা, ৭ জন পুরুষ শিশু ও ৬ জন মহিলা শিশু। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এদিন তার লিখিত তথ্য পড়ে শোনান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনিই সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন। স্পিকারের সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
সরকার দলের হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এইচআইভি শনাক্তকরণসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ থাকায় এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে তৈরি পোল্ট্রি ও ফিশ ফিড ক্যানসারসহ অনেক জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

প্রতি ১০ জন নারীর তিনজন তামাক সেবনকারী

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে ২০০৯-এর উদ্বৃতি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে প্রতি ১০ জন নারীর তিনজন কোনও না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করেন। অর্থাৎ দেশের ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারীই ধোয়াযুক্ত ও ধোয়াবিহীন বিভিন্ন তামাক ব্যবহার করে থাকেন।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর ৯৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে দেখা দেয় আটটি রোগ। এগুলো হলো— হৃদরোগ, ফুসফুসে ক্যানসার, মস্তিষ্কে স্ট্রোক, মুখের ক্যানসার, শ্বাস ও খাদ্যনালীর ক্যানসার, ফুসফুসের শ্বাসতন্ত্রের বাধাজনিত রোগ, ফুসফুসের যক্ষ্মা, বার্জার’স ডিজিজ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যা্ছে।

চার বছরে সরকারি খরচে হজ করেছেন ৯৯৯ জন 
চার বছরে সরকারি খরচে ৯৯৯ জন হ্জ পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি খরচে ২০১৪ সালে ১২৫ জন, ২০১৫ সালে ২৬৬ জন, ২০১৬ সালে ২৮৮ জন এবং এ বছর ৩২০ জন হ্জ পালন করেছেন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৯৫ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২১ হাজার ২২৯ জন ও হজ ব্যবস্থাপনা কাজে ১ হাজার ২৭০ জন হজ করতে সৌদি আরবে যান। ভিসা ইস্যুর পরও ৩৬৭ জন হজ পালন করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

ধর্মমন্ত্রী জানান, যেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে তা শুনানি করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।