উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১৩ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন তিন শতাধিক শ্রমিক। বিভিন্ন সংগঠন এই দুর্ঘটনার বার্ষিকী পালন করছে।
শুক্রবার মানববন্ধন করেন- গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কাস ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ), ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল, টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কাস ফেডারেশন।
গার্মেন্টস দুর্ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিচার হয় না বলে দাবি করেন শুক্রবার মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তরা। তারা বলেন, তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের পরে ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৭ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হয়েছিলেন দুই হাজার শ্রমিক। এরপর ২০১৬ সালে টঙ্গীতে টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডে আগুনে পুড়ে ও ভবন ধসে মারা যান ৩৯ জন শ্রমিক। আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকদের মৃত্যু ঘটেই চলেছে। বক্তরা আরও বলেন, এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই দুর্ঘটনা নয়, বরং কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার কারণেই মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে।
গার্মেন্টস দুর্ঘটনায় দোষীদের বিচার না হওয়ার পেছনে সরকারের অবহেলাকে দায়ী করে মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের অবহেলার কারণে কারখানার শ্রমিকদের জীবন আজ বিপন্ন। অন্যদিকে মালিকরা অতি মুনাফার লোভে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না।
মানববন্ধনগুলো থেকে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা এবং মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি তোলা হয়েছে। একইহারে সব শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি করা হয়।
৮ ঘণ্টায় কর্মদিবস, জোর করে ওভারটাইম করানো বন্ধ করা, সাপ্তাহিক এক দিন ছুটি কার্যকর করা, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছয় মাসের বেতনসহ ছুটি কার্যকর করারও দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।