শুক্রবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি সরকার যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই স্বীকৃতি সমগ্র জাতির জন্য এক বিরাট অর্জন।’
এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সেই ঐতিহাসিক স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে একটি আনন্দ মিছিল বের হবে বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে। রাজনীতিক, সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, ক্রিড়াবিদ, এনজিও কর্মী, স্কাউট, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপিসহ সব পর্যায়ের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর বিকাল চারটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিকাল পাঁচটায় লেজার শো’র আয়োজন করা হয়েছে।
দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি উদযাপনের জন্য র্যাব, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কাবস্থায় থাকবে। এদিকে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের তথ্য মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর কার্যালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর কার্যালয় এই অনুষ্ঠান তদারকি করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য,গত ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
সূত্র: বাসস
আরও পড়ুন:
মিসরে মসজিদে জঙ্গি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৫